বিল্ডিং রং করার নিয়ম বা পদ্ধতি
বিল্ডিং এর ফিনিশিং কাজের অংশ হিসাবে পেইন্টিং করা হয়। পেইন্টিং সর্তকতার সাথে না করলে কতগুলো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন: পেইন্ট ডাম্প হওয়া, ঝরে পড়া, রং করার পর উঁচু নিচু দেখা যাওয়া ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলো এড়ানোর জন্য নিচের নিয়মগুলো ফলো করে রং করতে হবে।
বিল্ডিংয়ে রং করার পূর্বে ৪০ নং পাথর দিয়ে ঘষে প্লাস্টার সারফেস ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে জায়গা প্রস্তুত করতে হবে।
রং করার নিয়মঃ-
প্লাস্টিক পেইন্ট: শুকনা ও পরিষ্কার জায়গার উপর রং করতে হবে। ভিজা জায়গায় পেইন্ট করা যাবে না। মিনিমাম ৪৫ দিন বয়সের ওয়ালের উপর পেইন্ট করতে হবে। রং অব্যশই রুলার বা ব্রাশ দিয়ে করতে হবে। প্রথমে ওয়াল বা সিলিং এ সিলার লাগাতে হবে। তার উপর টাচ পুটি করতে হবে। পেপার দিয়ে ঘষে প্রথমে পাতলা করে প্রথমে এক কোট রং করতে হবে। একদিন পর তার উপর পুনরায় টাচ পুটি করে পুনরায় রং করতে হবে। এভাবে তিন কোট রং করতে হবে। ফাইনাল কোট দেয়ার পূর্বে অবশ্যই লাইট দিয়ে সারফেস চেক করতে হবে। সারফেস অসমান হলে পুটি করে সমান করতে হবে। ফাইনাল কোট দেয়ার পর সারফেসের উপর দাগ বা গর্ত দেখা যাবে না।আউট সাইড পেইন্ট: রং করার সিস্টেম প্রায় এক সিলারের পরিবর্তে snowcem/ Durocem ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রং ৩ কোট এর পরিবর্তে ২ কোট হয়ে থাকে। পুটি করার প্রয়োজন পড়ে না।
এনামেল পেইন্ট: Iron surface/ wooden surface এ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রথমে primer লাগাতে হবে। primer হিসাবে Red- oxide মারতে হবে।
উৎস ও ব্যবহারঃ-
নির্মাণ সম্পর্কিত এই তথ্যটি ইন্টারনেট ও নিজস্ব মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই তথ্যটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই তথ্যটি ব্যবহার করতে পারবেন।